হোম আমাদের সম্পর্কে জেলা বিচার বিভাগের ইতিহাস
১৭৮৭ সালে মি. পিটার্স স্পেক কালেক্টর পদের পাশাপাশি জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে উন্নীত হন। তাঁর দুজন সহকারী ছিল। তাদের একজনের কর্মস্থল ছিল ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় এবং অন্য জনের কর্মস্থল ছিল বাংলাদেশের নাটোর জেলায়। এ থেকে বুঝা যায় সে সময় একই ব্যক্তি প্রশাসন, রাজস্ব ও বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করতেন।
১৭৯৩ সালে জজ ও কালেক্টর অফিস পৃথক করে দেওয়ানি আদালতকে ডিস্ট্রিক্ট জাজ আদালতে রূপান্তর করা হয় এবং জেলা জজ পদ সৃষ্টি করা হয়।
১৯১৬ সালের রাজশাহী জেলা গেজেটিয়ার থেকে জানা যায় সে সময় রাজশাহী জেলায় ১ জন জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন। তিনি ভারতের মালদহ জেলারও জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন। তবে তার সদর দপ্তর ছিল রাজশাহীতে।
১৮৬৪ সালের মার্চ মাসে ফরাসী নির্বাহী প্রকৌশলী মিস্টার ই এস বি পেরেইরা এর তত্ত্বাবধানে রাজশাহী জজকোর্ট এর হেরিটেজ ভবনের কাজ শুরু হয় এবং ১৮৬৫ সালের আগস্ট মাসে তা শেষ হয়।
আমাদের কথা রাজশাহী
নিজামত আদলত নামক দুটি প্রধান বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং শান্তি রক্ষার জন্য প্রত্যেক জেলায় একজন ফৌজদার নিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৭৭৫ সালে সদর নেজামত
আদালত কোলকাতা হতে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত হয়েছিল। মোহাম্মদ রেজা খা নায়েবে নাজিম উপাধি গ্রহণ করে এর প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। সম্ভবতঃ ১৮৬২
সালে সদর নেজামত আদালত ও কোলকাতার সুপ্রীম কোর্ট একত্র হয়ে হাইকোর্ট গঠিত হয়েছিল। ১৭৮৬ সালের জানুয়ারীতে মি. ডালেস পদত্যাগ করলে মি. পিটার্স স্পেক কালেক্টর পদে স্থলাভিসিক্ত হয়ে ১৭৮৭ সালে জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট পদেও উন্নীত হন এবং কালেক্টর ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে মাসিক বেতন ও বাড়ি ভাড়া বাবদ মোট ১৫শত টাকা পেতেন। ৫
শত ও ৪ শত টাকা বেতনে তাঁর দুজন সহকারী ছিলেন। সহকারী দুজনের একজন থাকতেন বর্তমান ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার মুরাদাবাদে এবং আর একজন থাকতেন
নাটোরে। এথেকে বোঝা যায় যে, আধুনিক প্রশাসনিক ব্যবস্থার সূচনায় একই ব্যক্তি প্রশাসন, রাজস্ব ও বিচারের দায়িত্ব পালন করতেন এবং এখানকার প্রশাসনিক কার্য মুর্শিদাবাদ ও
নাটোর দু জায়গা থেকে পরিচালিত হতো। ১৯১৬ সালে লিখিত রাজশাহী জেলা গেজেটীয়ার থেকে জানা যায় সে সময় রাজশাহী জেলায় ১ জন জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন। তিনি বর্তমান ভারতের মালদহ জেলারও জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন। তবে সদর দফতর ছিল রাজশাহী মহানগরীতে। ৭.১২.২০০৩ তারিখে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক রাজশাহীতে একজন জেলা ও দায়রা জজ আছেন। তার অধীনে তিন জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন। কিন্তু ১টা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ গাজীপুরে স্থানান্তর হওয়ায় বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের সংখ্যা দুজন। সাব ও সহকারী দায়রা জজ দুজন, সাব জজ (অর্থ ও ঋণ আদালত) ১ জন, সিনিয়র সহকারী জজ (রাজশাহী সদর) ১ জন, সিনিয়র সহকারী জজ (অতিরিক্ত সদর) ১ জন। কিন্তু বর্তমানে ১ জেলা ও দায়রা জজ, ০৩ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ০৩ জন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ০৪ জন সিনিয়র সহকারী জজ এবং ০৭ জন সহকারী জজ কর্মরত আছেন।